কিছুক্ষণ আগে হল কথা এক রমণীর সনে
থাকে ভিনদেশে;তবে জাতে দেশি
থাকিলেও দূরে ভুলিতে পারেনি নাড়ীর টানেরে ।
চোখে মুখে সধা বাঙালি ভাব
সাজে ফুটিয়ে তুলে বাংলার রমণীর রূপ
দেখিয়া কে কহিবে ভিনদেশে রহিয়াছে
                                   এই রমণী।


কিছুক্ষণ আগে হল কথা এক রমণীর সনে
তেমন কিছু নয় তারি লিখা এক কবিতা লয়ে
না না ভিনদেশী ভাষায় নহে খাঁটি বাংলায় ।
রূপ যেন তার ময়ূরের পালকের মত সুন্দর
আরে না ভিনদেশী সাজে নহে
সে সাজে বাংলারই সাজে।
দেখিয়া কে কহিবে ভিনদেশে রহিয়াছে
                                   এই রমণী।


কিছুক্ষণ আগে হল কথা এক রমণীর সনে
রূপে গুণে যেন সে জীবনানন্দ দাসের বনলতা সেন।
আবার মনে হতে পারে হেলাল হাফিজের হিরনবালা।
হতে পারে মনে নির্মলেন্দু গুনের চাওয়া সে রমণী।
কেউ বলতে পার, না এতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের
নিরুদ্দেশ যাত্রা কবিতার সে অপরিচিতা বিদেশিনী নারী।
কেউ বলে উঠিতে পারো এতো পুর্ণেন্দু পত্রীর
কথোপকথন ১১ কবিতার শুভন্করের ভালবাসার
                                        সেই রমণী।
কারো চোখে ভেসে উঠতে পারে নজরুলের অনামিকার প্রতিচ্ছবি।
কারো মনে হতে পারে ময়ুখ চৌধুরীর বুকে আগুন  জ্বালিয়ে দেওয়া রমণী।
আমার চোখে সে শুধু তুলনাহীন বাংলার অপরূপ এক রমণী।
দেখিয়া কে কহিবে ভিনদেশে রহিয়াছে
                                     এই রমণী।